মানবাধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার ?

২১শে ফেব্রুয়ারী (ফেব্রুয়ারী ২০১২)

mdmominullahpatwory
  • 0
  • ৫৬
মানবাধিকার কথাটি আজ বিশ্বের আলোচিত বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। ইংরেজীতে যাকে ঐঁসধহ জরমযঃনামে আখ্যায়িত করা হয়েছে যার বাংলা প্রতিশব্দ মানুষ হিসাবে অধিকার। সাধারন অর্থে মানবাধিকার বলতে বুঝায় মানুষ হিসাবে তার প্রাপ্য আধিকার। একজন মানুষ একটি সমাজে বসবাসের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা আর্থিক নিরাপত্তা এবং রাজনেতিক নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়ে থাকে। এখানে আমরা মানবাধিকার কে তিন টি ভাগে ভাগ আলোচনা করতে পারি। এক. সামাজিক মানবাধিকার বা সামাজিক নিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝি মানুষ যে সমাজে বাস করে সেই সমাজে নিজের মান সম্মান, ইজ্জত আব্রু সামাজিক ংঃধঃধৎং নিয়ে বসবাস করা। এটাই সামাজিক ভাবে তার মানবাধিকার রক্ষিত হয়েছে বলে ধরা হয়। সমাজ বলতে সমাজ বিজ্ঞানির ভাষায় আমরা বুঝি সমাজে যা কিছু নিয়ে বসবাস করি বা আমাদের চার পাশে যা কিছু আছে তাই সমাজ। তাহলে আমাদের বুঝার জন্য প্রয়োজন হলো সামাজিক ভাবে স্বীকৃত কোন ব্যক্তি যে সমাজ বিরোধী কোন তৎপরতা বা কাজে জড়িত নয় তার নিরাপত্তা মূলত সমাজকে নিশ্চিত করতে হবে। যার মূল শক্তি হলো আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। দুই . অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বলতে সাধারনত আমরা বুঝি কোন ব্যক্তি তার নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়ার অধিকার রাষ্ট্রের নিকট আছে । আর রাষ্ট্র যদি তা ব্যবস্থা করতে না পারে সেই ব্যর্থতা রাষ্ট্রের। ব্যক্তি তার নিজের যোগ্যতায় আত্নকর্ম সংস্থান করে নিতে পারলে রাষ্ট্র তাকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করবে। প্রয়োজন মত রাষ্ট্র তার সকল নাগরিকের জন্য আর্থিক নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করে দিবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, যদি কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান নিজেদের মেধা , যোগ্যতা ও তৎপরতা দিয়ে আত্নকর্ম সংস্থান সৃষ্টি করতে পারে তাহলে রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাড়ায় তাকে বেড়ে উঠার সার্বিক আয়োজন সু- সম্পন্ন করে দেওয়া। এবং তাদের সম্পদ ও সম্ভ্রমের সর্ব্বোচ্ছ নিরাপত্তা বিধান করতে পারলে ই কেবল অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত আছে বলা যায়। তিন . রাজনৈতিক অধিকার হলো মতপ্রকাশ করার স্বাধীনতা । রাষ্ট্রে সকল নাগরিক তার স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারবে এটাই আমাদের সংবিধান সংরক্ষন করেছে কিন্তুু বাংলাদেশের পেক্ষাপটে প্রতিয়মান হয় যে, যে যখন ক্ষমতার আসনে আসিন হয়েছে সে তার মতকে অন্যের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সকল প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের শাসন ব্যবস্থায় বারবার সামরিক শাসন এবং অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা দখল হয়েছে। সচেতন সমাজের অভিমত হলো যে, রাষ্ট্র যদি সামাজিক , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক তথা মানবাধিকার বা যার যা প্রাপ্য তাকে তার আলোকে ব্যবস্থা করে দেয় দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের পালন নীতি অবলম্ভন করে তাহলে শাসন ব্যবস্থা তার নিজ গতিতে চলতে থাকবে এবং সমাজ উত্তর উত্তর অগ্রগতির দিকে ধাবিত হবে। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বাংলাদেশে যে সকল মানবাধিকার রিপোর্ট আজ পযন্ত প্রকাশিত হয়েছে তার ৮০ ভাগ এর উপরে মানবাধিকার লঙ্গন করেছে সরকার অথবা তার সংস্থা গুলোর দ্বারা । তাই আজ প্রয়োজন মানবাধিকার প্রতিষ্টার জন্য প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব উদ্যেগ। আর সেই জন্য প্রয়োজন জনসাধারন ও অধিকার বঞ্চিতদের সচেতন করে তোলা । সচেতন করে তোলার এই দায়িত্ব আজ মানবাধিকার রক্ষার্থে যে সকল সংগঠন গড়ে উঠেছে তারা পালন করবে এই প্রত্যাশা আজ অধিকার বঞ্চিত সকলের।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক বিষয় বহির্ভুত গবেষনাধর্মী লেখা, ভালো লাগলো......
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
sakil apnar lekhati besh valo tobe emon lekha bloge besh manay valo . golpo kOthay . onekota probndher moto ebong bishoyer sathe mil nai .
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

০১ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪